Advertisements


বৃষ্টি বলয় “নির্ঝর” এর মেয়াদ আরও চার দিন বৃদ্ধি!

বৃষ্টি বলয় নির্ঝর

বৃষ্টি বলয় “নির্ঝর” এর মেয়াদ আরও চার দিন বৃদ্ধি!

বৃষ্টি বলয়ের বাকি চার দিনে দেশের ৫০ শতাংশ এলাকায় কম বেশি বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দক্ষিণাঞ্চল এবং উপকূলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এটি আগামী ১০ ই জুলাই বিদায় নিতে পারে।

বাকি চার দিনে বৃষ্টি বলয় নির্ঝর কোথায় কেমন সক্রিয় হতে পারে?

সর্বাধিক সক্রিয়ঃ দেশের সমগ্র উপকূলীয় এলাকা।
বেশ সক্রিয় : বরিশাল, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগ
মাঝারি সক্রিয়: সিলেট ও রাজশাহী বিভাগ
কম সক্রিয় : রংপুর বিভাগ।

বাকি চার দিনের কাভারেজ : দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ এলাকা।
ধরন : মৌসূমী বৃষ্টি বলয়
সময়কাল : ৬ জুলাই হতে ৯ ই জুলাই পর্যন্ত।
সর্বাধিক সক্রিয়: ৬ টু ৮ জুলাই
[এ সময় বেশি সক্রিয় এলাকায় বেশি বৃষ্টিপাত দেখা যেতে পারে ]


বৃষ্টি বলয় নির্ঝর এর বাকি দিনের পূর্বাভাস সম্পর্কে আরো বিস্তারিত!

কালবৈশাখী : নেই
বজ্রপাত : অপেক্ষাকৃত কম [শেষের দিকে বাড়তে পারে]
বন্যা : নেই
একটানা বর্ষন : আছে বেশি সক্রিয় এলাকায়। [বেশিরভাগ মধ্যরাত থেকে সকাল/দুপুর পর্যন্ত]

সিস্টেম : একটি মৌসূমী অক্ষরেখা যুক্ত সিস্টেম আছে।
ঝড় : এই বৃষ্টি বলয়ের বাকি সময়ে দেশের উপর বড় কোন ঝড়ের সম্ভাবনা নেই তবে উপকূলীয় এলাকায় মৌসুমী সিস্টেমের প্রভাবে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

সাগর : বেশিরভাগ সময়েই কিছুটা উত্তাল থাকতে পারে বায়ুচাপের তারতম্যের কারনে। তাই আপনারা এই সময়ে ঝুঁকি এড়াতে ছোট নৌজান নিয়ে মাছ ধরতে সাগরে নামবে না দয়াকরে।

পাহাড় ধসঃ কক্সবাজার, বান্দরবান এলাকায় কিছুটা ঝুঁকি থেকে যায়।

বৃষ্টি বলয় নির্ঝরের বাকি সময়ে বৃষ্টিপাতের ধরনঃ

“নির্ঝর” এর বাকি সময়ে বেশি সক্রিয় এলাকায় অধিকাংশ বৃষ্টিপাত হতেপারে একটানা মধ্যম স্থায়ী ও দীর্ঘস্থায়ী। [দক্ষিণাঞ্চল ও উপকূলীয় এলাকায়]
এবং কম সক্রিয় এলাকায় বিক্ষিপ্ত প্রকৃতির ঝাকে ঝাকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে সল্প স্থায়ী অল্প অল্প বৃষ্টি হতে পারে [মধ্য ও উত্তর অঞ্চলে]

*এই বৃষ্টি বলয় চলাকালীন বাকি সময়ে দেশের প্রায় ৩০-৪০% এলাকায় পানি সেচের চাহিদা পুরন হতে পারে।

ভ্যাপসা গরম এবং মেঘের অভিমুখঃ

বৃষ্টিবলয় নির্ঝর চলাকালীন সময়ে দেশের আবহাওয়া অধিকাংশ এলাকায় আরামদায়ক থাকতে পারে, তবে বৃষ্টি বিরতির সময় অল্প কিছুটা ভ্যপসা গরম পড়তে পারে কিছু কিছু এলাকায়। [মূলত মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে]

নির্ঝর চলাকালীন সময়ে বেশি সক্রিয় স্থানে রোদের উপস্থিতি তেমন পাওয়া যাবেনা ইনশাআল্লাহ। তবে কম সক্রিয় এলাকায় রোদ মেঘের খেলা চলতে পারে।

মেঘের অভিমুখ: অধিকাংশ এলাকায় দক্ষিণ হতে উত্তর দিকে। তবে মাঝে মাঝে বিভিন্ন এলাকায় গতিপথ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। যেমন, উপকূলে দক্ষিণ পশ্চিম হতে উত্তর পূর্ব দিকে এবং উত্তরাঞ্চলে দক্ষিণ পূর্ব থেকে উত্তর পশ্চিম দিকে।

বজ্রপাত ও বৃষ্টিবলয় নির্ঝরের সক্রিয়তার পর্যায়ঃ

বজ্রপাতঃ এই বৃষ্টি বলয়ের বাকি দিনগুলোতে দেশের অধিকাংশ এলাকায় অল্প বজ্রপাত হতে পারে। অনেক এলাকায় বজ্রপাত মুক্ত থাকতে পারে। তবে বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও কোথাও কিছুটা বজ্রপাত লক্ষ্য করা যেতে পারে।

বৃষ্টি বলয় নির্ঝরে কোন বিভাগে কত দিনে গড়ে কেমন বৃষ্টি হতে পারে দেখে নিনঃ

বিভাগীয় গড় (মিলিমিটার) ও বৃষ্টির দিন সংখ্যা
বরিশাল ১৪০ মিলিমিটার গড়ে ৪ দিন
খুলনা ১০০ মিলিমিটার গড়ে ৩ দিন
চট্টগ্রাম ৯৫ মিলিমিটার গড়ে ৩ দিন
সিলেট ১০০ মিলিমিটার গড়ে ২ দিন
ঢাকা ৭০ মিলিমিটার গড়ে ৩ দিন
রাজশাহী ৬৫ মিলিমিটার গড়ে ৩ দিন
রংপুর ৫০ মিলিমিটার গড়ে ২ দিন ও
ময়মনসিংহ ৭০ মিলিমিটার গড়ে ২ দিন

আসুন একনজরে দেখে নেই, বৃষ্টি নির্ঝর চলাকালীন সময়ে আপনার জেলায় গড়ে কত মিলিমিটার বৃষ্টি হতেপারে।

বরিশাল বিভাগ
———————–
বরিশাল – ১০০

বরগুনা – ১৪০

ভোলা উত্তর – ১২০

ভোলা দক্ষিণ – ১৪০

ঝালকাঠি – ১৪০

পটুয়াখালী উত্তর – ১৪০

পটুয়াখালী দক্ষিণ – ১৫০

পিরোজপুর উত্তর – ১৫০

পিরোজপুর দক্ষিণ – ১৫০

চট্টগ্রাম বিভাগ
———————–
ব্রাহ্মণবাড়িয়া – ৬০

চাঁদপুর – ৭৫

চট্টগ্রাম উত্তর – ৯৫

চট্টগ্রাম দক্ষিণ – ১০০

কক্সবাজার উত্তর – ১৫০

কক্সবাজার দক্ষিণ – ২০০

কুমিল্লা উত্তর – ৬০

কুমিল্লা দক্ষিণ – ৬৫

খাগড়াছড়ি উত্তর – ৫৫

খাগড়াছড়ি দক্ষিণ – ৬২

ফেনী – ৯০

লক্ষ্মীপুর – ৮৫

নোয়াখালী উত্তর – ৯৫

নোয়াখালী দক্ষিণ – ১৪৫

বান্দরবান উত্তর – ৭৫

বান্দরবান দক্ষিণ – ১২০

রাঙ্গামাটি উত্তর – ৫৫

রাঙ্গামাটি দক্ষিণ – ৭২

ঢাকা বিভাগ
———————-
ঢাকা – ৫৬

ফরিদপুর – ৭০

গাজীপুর – ৬০

গোপালগঞ্জ – ৯০

কিশোরগঞ্জ – ৬৫

মাদারীপুর – ৬০

মানিকগঞ্জ – ৬০

মুন্সিগঞ্জ – ৬২

নারায়ণগঞ্জ – ৬৫

নরসিংদী – ৫৪

রাজবাড়ী – ৭৫

শরীয়তপুর – ৬৫

ময়মনসিংহ বিভাগ
—————————
জামালপুর – ৪৮

ময়মনসিংহ উত্তর – ১০০

ময়মনসিংহ দক্ষিণ – ৭৫

নেত্রকোনা – ৯০

শেরপুর – ৭০

টাঙ্গাইল – ৬২

খুলনা বিভাগ
———————–
বাগেরহাট উত্তর – ১০০

বাগেরহাট দক্ষিণ – ১৫০

চুয়াডাঙ্গা – ৮৬

যশোর – ৮২

ঝিনাইদহ – ৮৫

খুলনা উত্তর – ১০০

খুলনা দক্ষিণ – ১৪৫

কুষ্টিয়া – ৬৫

মাগুরা – ৯০

মেহেরপুর – ৭৮

নড়াইল – ৭৫

সাতক্ষীরা উত্তর – ৭৫

সাতক্ষীরা দক্ষিণ – ১১৫


রাজশাহী বিভাগ
————————–
বগুড়া – ৫০

জয়পুরহাট – ৪৫

নওগাঁ – ৫৫

নাটোর – ৬৫

নবাবগঞ্জ – ৮২

পাবনা – ৬৬

রাজশাহী – ৮৫

সিরাজগঞ্জ – ৭৫

রংপুর বিভাগ
———————
দিনাজপুর – ৩০

ঠাকুরগাঁও – ৩৫

পঞ্চগড় – ৭৫

রংপুর – ৪৫

গাইবান্ধা – ৩৫

কুড়িগ্রাম – ৫৫

লালমনিরহাট – ৫০

নীলফামারী – ৫৫

সিলেট বিভাগ
———————-
হবিগঞ্জ – ৭২

মৌলভীবাজার – ৭৫

সুনামগঞ্জ – ১১০

সিলেট – ১৩০

*/বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী ভারতীয় অঙ্গরাজ্য গুলোর বৃষ্টিপাত/*

পশ্চিমবঙ্গ
——————-
উত্তর ২৪ পরগনা – ১০০

দক্ষিণ ২৪ পরগনা – ১২০

সেন্ট্রাল সাউথ বেঙ্গল – ৮৫

কলকাতা – ৯০

দিঘা – ৮৫

মেদিনীপুর – ১১০

বাঁকুড়া – ১১৫

পুরুলিয়া – ১৪০

বর্ধমান – ৮০

আসানসোল – ৮৫

বহরমপুর – ৭৫

মালদা – ৫৮

রায়গঞ্জ – ৩৫

ইসলামপুর – ৩০

শিলিগুড়ি – ৯০

দার্জিলিং – ৯৫

জলপাইগুড়ি – ৮০

কোচবিহার – ৭৫

ওড়িশা
————–
উত্তর ওড়িশা – ১২০

পূর্ব মধ্য ওড়িশা – ৩০

ঝাড়খণ্ড
—————-
উত্তর ঝাড়খণ্ড – ৫৮

দক্ষিণ ঝাড়খণ্ড – ১০০

জামশেদপুর – ১৩৫

রাঁচি – ১০০

দুমকা – ৪৫

বিহার
————–
দক্ষিণ বিহার – ৩০

পূর্ব বিহার – ২০

উত্তর বিহার – ১৫

আসাম
——————
পশ্চিম আসাম – ১৩৫

পশ্চিম মধ্য আসাম – ১১৫

মধ্য আসাম – ৬০

পূর্ব আসাম – ৭৫

দক্ষিণ আসাম – ১০০


মেঘালয়
—————–
চেরাপুঞ্জি – ২০০

পশ্চিম মধ্য মেঘালয় – ৪৫

পূর্ব মধ্য মেঘালয় – ৫০

মধ্য মেঘালয় – ৫২

অরুণাচল
——————
অরুণাচল – ৬০

ত্রিপুরা ও মিজোরাম
—————————
ত্রিপুরা – ৬০

ত্রিপুরা-মিজোরাম সীমান্ত – ৫৫

উত্তর মিজোরাম – ৫৫

দক্ষিণ মিজোরাম – ৬৫

নাগাল্যান্ড ও মনিপুর
—————————
মণিপুর – ৬৫

নাগাল্যান্ড – ৬২

*/বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী এলাকার বৃষ্টিপাত/*

নেপাল
——————
আপার নেপাল – ৬৫
দক্ষিণ পূর্ব নেপাল – ৪০

ভুটান
————–
পশ্চিম ভুটান – ৪২

মধ্য ভুটান – ৪৪

পূর্ব ভুটান – ৫০

মিয়ানমার (চিন ও রাখাইন অঞ্চল)
—————————————-
উত্তর চিন – ৬০

দক্ষিণ চিন – ৭০

সাগিং উত্তর– ৭৫

সাগিং দক্ষিন– ৫০

উত্তর রাখাইন – ২৫০

মধ্য রাখাইন – ২৭৫

মাগওয়ে – ২৫


বৃষ্টি বলয় নির্ঝরের পূর্বাভাসে যে সকল বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবেঃ

*এখানে দেওয়া বৃষ্টির পরিমান একটা গড় ধারনা মাত্র, স্থানভেদে এর পরিমান কিছুটা হেরফের হতেপারে। ও পূর্বাভাসের তুলনায় কোন কোন ক্ষুদ্র এলাকায় কিছুটা বেশি বৃষ্টি হতে পারে ও কোন ক্ষুদ্র স্থানে বৃষ্টি অনেক কম হতে পারে, বা নাও হতে পারে।

নোট : প্রাকৃতিক কারনে বৃষ্টি বলয় নির্ঝর এর সময়সূচি কিছুটা পরিবর্তন ও এর শক্তি কিছুটা হ্রাস, বৃদ্ধি বা বিলুপ্ত হতেপারে। এমনকি আপনার এলাকায় টোটালি বৃষ্টি নাও হতে পারে।

পূর্বাভাস তৈরি : Bangladesh Weather Observation Team Ltd. (BWOT)

[Copyright : বাংলাদেশে BWOT একমাত্র আবহাওয়া সংস্থা যারা বৃষ্টি বলয় নামকরন করে বৃষ্টিবলয়ের পূর্বাভাস করার প্রচলন করে। তাই BWOT ব্যাতিত আর কেউ বৃষ্টি বলয় নামকরণ করে পূর্বাভাস করে বিভ্রান্তি তৈরি করা থেকে বিরত থাকুন]

DISCLAIMER: এটা শুধুমাত্র আমাদের গবেষণায় পাওয়া তথ্য, কোনো সরকারি পূর্বাভাস বা সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি না এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত অফিসিয়াল পূর্বাভাসের জন্য সবাই বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করুন।

এবং এই পূর্বাভাসের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করুন, অথবা তাদের পূর্বাভাস অনুসরণ করুন।

ধন্যবাদ : Bangladesh Weather Observation Team Ltd. (BWOT)
আপডেট : ৫ জুলাই ২০২৫, রাত ৯ টা ০০।৷

Advertisements


Advertisements