বিশেষ আবহাওয়া বুলেটিন : বৃষ্টিবলয় শ্রাবণী এর সংশোধিত আপডেট

বিশেষ আবহাওয়া বুলেটিন : বৃষ্টিবলয় শ্রাবণী এর সংশোধিত আপডেট।
নোট : প্রাকৃতিক কারনে বৃষ্টিবলয় শ্রাবণী এর সময়সীমা বৃদ্ধি ও শক্তি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।

চলমান কম সক্রিয় বৃষ্টিবলয় শ্রাবণী পরবর্তীতে অতিভারী বৃষ্টিবলয়ে রুপ নিতে পারে। এটি একটি পূর্ণাঙ্গ বেশ শক্তিসম্পন্ন বৃষ্টি বলয়।

এটিও একটি প্রায় নিরব বৃষ্টিবলয়, মানে এই বৃষ্টি বলয়েও দেশের অধিকাংশ এলাকায় অল্প বজ্রপাত হতেপারে। তবে আকাশে প্রায়শই ডাকাডাকি লক্ষ্য করা যেতে পারে কোথাও কোথাও।

এটি চলতি বছরের ১১ তম বৃষ্টিবলয়,ও এই বছরের তৃতীয় মৌসূমী বৃষ্টিবলয়। এই বৃষ্টি বলয়ের প্রথমদিকে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে বেশি সক্রিয় থাকতে পারে। ও সমগ্র উপকূল।

সর্বাধিক সক্রিয়: চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের সকল জেলা। দক্ষিণে বেশি।
অধিক সক্রিয়ঃ ময়মনসিংহ, ঢাকা বিভাগের অধিকাংশ এলাকা।
মাঝারি সক্রিয় : রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সকল জেলা।
কম সক্রিয়ঃ

নাম : অতিভারি শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় শ্রাবণী
টাইপ : পূর্ণাঙ্গ বৃষ্টিবলয়।
কাভারেজ : সমগ্র বাংলাদেশ, সমগ্র, নেপাল, ভূটান ও ভারতের প্রায় ৫৫ শতাংশ এলাকা।
ধরন : মৌসূমী বৃষ্টিবলয়।
সময়কাল : ১৫ ই অগাস্ট টু ২৪ শে অগাস্ট ২০২৪ সম্ভাব্য।

সর্বাধিক সক্রিয়, ১৭ টু ২২ শে অগাস্ট।
উত্তর অঞ্চলে মোটামুটি সক্রিয়, ১৯ শে অগাস্ট হতে।

কালবৈশাখী : নেই
বজ্রপাত : অপেক্ষাকৃত কম।
বন্যা : আছে, সিলেট ও চট্টগ্রাম(মধ্য-দঃ) বিভাগের নিচু এলাকায় সাময়িক।
একটানা বর্ষন : আছে।
সিস্টেম : মনসুন অক্ষরেখা যুক্ত সার্কুলেশন/স্থল লঘুচাপ আছে।

ঝড় : এই বৃষ্টি বলয়ে কোন ঝড়ের সম্ভাবনা নেই ইনশাআল্লাহ।
সাগর : বেশিরভাগ সময়েই কিছুটা উত্তাল থাকতে পারে। উল্লেখযোগ্য ১৭-২২ আগস্টে।

নোট : বৃষ্টিবলয় শ্রাবণী চলাকালীন সময়ে বেশি সক্রিয় এলাকায় বেশিরভাগ সময়ই আকাশ মেঘাছন্ন থাকতে পারে। এবং উক্ত এলাকার অধিকাংশ বৃষ্টিপাত হতে পারে একটানা দীর্ঘস্থায়ী বেশি সক্রিয় সময়ে। যদিও দিনের বেলা মাঝেমধ্যে বিরতি নিতে পারে।

আরো জানুনঃ বৃষ্টি বলয় কি? এর ধরন কি কি?

বৃষ্টিবলয় শ্রাবণী এর বিস্তারিত বিবরণঃ

বিবরন : এই বৃষ্টিবলয় আগামিকাল ১৫ অগাস্ট বরিশাল ও খুলনা বিভাগ দিয়ে দেশে সক্রিয় হতে শুরু করতে পারে এবং আগামী ২৪ শে আগস্ট রংপুর হয়ে দেশ ত্যাগ করতে পারে।

*এই বৃষ্টি বলয় চলাকালীন সময়ে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের নিচু এলাকায় সাময়িক বন্যার সৃষ্টি হতে পারে।

বৃষ্টিবলয় শ্রাবণী চলাকালীন সময়ে দেশের রাজশাহী বিভাগের কিছু এলাকায় মৃদু তাপপ্রবাহ সক্রিয় থাকতে পারে এবং কিছুটা ভ্যাপসা গরম অনুভূত হতে পারে। এবং অন্যত্র বেশ আরামদায়ক তাপমাত্রা থাকতে পারে।

শ্রাবণী চলাকালীন সময়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর অধিকাংশ সময়েই বায়ুচাপের তারতম্যের কারনে কিছুটা উত্তাল থাকতে পারে, বিশেষ করে ১৭-২২ আগস্ট।
শ্রাবণী চলাকালীন সময়ে বেশি সক্রিয় স্থানে রোদের উপস্থিতি তেমন পাওয়া যাবেনা ইনশাআল্লাহ।

মেঘের অভিমুখ: অধিকাংশ এলাকায় দক্ষিণ পশ্চিম হতে উত্তর পূর্ব দিকে ও পরবর্তিতে পশ্চিম হতে পূর্ব দিকে। তবে শুরুতে বিভিন্ন স্থানে এলোমেলো অভিমুখ থাকতে পারে।

বন্যার সতর্কতাঃ দেশের উপকূলে প্রচুর বৃষ্টির জন্য বৃষ্টি জনিত জলাবদ্ধতা তৈরী হতে পারে।
বজ্রপাতঃ এই বৃষ্টি বলয়ে দেশের অধিকাংশ এলাকায় হালকা বজ্রপাত হতে পারে।

আসুন একনজরে দেখেনেই বৃষ্টি বলয় শ্রাবণী চলাকালীন সময়ে দেশের কোন বিভাগে গড়ে কত মিলিমিটার ও গড়ে কত দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে?

ঢাকা ১২০-১৭৫ মিলিমিটার, গড়ে ৫/৬দিন
খুলনা ১৭৫-৩০০ মিলিমিটার গড়ে ৮ দিন
বরিশাল ২০০-৩০০ মিলিমিটার গড়ে ৭ দিন
সিলেট ৩০০-৩৫০ মিলিমিটার গড়ে ৮ দিন
ময়মনসিংহ ১০০-১৭৫ মিলিমিটার গড়ে ৫ দিন
রাজশাহী ৯০-১৩০ মিলিমিটার গড়ে ৫/৬ দিন
রংপুর ৯০-১২০ মিলিমিটার গড়ে ৪/৫ দিন
চট্টগ্রাম ২৫০-৩৫০ মিলিমিটার গড়ে ৬/৭ দিন।

আসুন একনজরে দেখে নেই, বৃষ্টি বলয় শ্রাবণী চলাকালীন সময়ে আপনার জেলায় গড়ে কত মিলিমিটার বৃষ্টি হতেপারে।
জেলার নাম। বৃষ্টির পরিমান (মিমি)

সিলেট। ৩২০+

সুনামগঞ্জ। ৩০০+

হবিগঞ্জ। ২৮০+

মৌলভীবাজার। ২৫০+

রংপুর, ১০০+

দিনাজপুর, ১২০+

ঠাকুরগাঁও। ৯০+

পঞ্চগড় ১৫০+

নীলফামারী ১২০+

লালমনীরহাট। ১২০+

কুড়িগ্রাম। ১৫০+

গাইবান্ধা ১১০+

জয়পুরহাট। ১০০+

নওগাঁ ১০০+

বগুড়া ১৩০+

চাঁপাইনবাবগঞ্জ। ১৩০+

রাজশাহী ১২০+

নাটোর। ১৩০+

সিরাজগঞ্জ। ১৪০+

পাবনা ১৫০+

খুলনা(উত্তর) ২০০+
খুলনা (দক্ষিন) ৩০০+

সাতক্ষীরা (উত্তর) ২৫০+
সাতক্ষীরা(দক্ষিণ) ৩২০+

বাগেরহাট(উত্তর) ২০০+
বাগেরহাট(দক্ষিন) ৩০০+

যশোর, ১৯০+

নড়াইল। ২০০+

মাগুরা ২১০+

ঝিনাইদহ। ১৮০+

চুয়াডাঙ্গা ১৭৫+

মেহেরপুর। ১৬০+

কুষ্টিয়া ১৮০+

বরিশাল, ২৫০+

পিরোজপুর। ২৮০+

ঝালকাঠি ২৬০+

পটুয়াখালী ৩০০+

বরগুনা ৩০০+

ভোলা ৩০০+

চট্টগ্রাম, ৩৫০+

ফেনী ৩৬০+

লক্ষ্মীপুর ২৮০+

চাঁদপুর। ২৭০+

কুমিল্লা দক্ষিণ ২৬০+
কুমিল্লা উত্তর ১৬০+

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১৬০+

খাগড়াছড়ি ২৫০+

রাঙ্গামাটি ২৮০+

বান্দরবান। ২৮০+

কক্সবাজার। ৩০০+

নোয়াখালী, ৩০০+

ঢাকা ১৫০+

গোপালগঞ্জ। ২২০+

মাদারীপুর। ১৬০+

শরিয়তপুর ১৭০+

ফরিদপুর। ১৮০+

রাজবাড়ী। ১৬০+

মানিকগঞ্জ। ১৬০+

মুন্সীগঞ্জ। ১৭০+

নারায়ণগঞ্জ। ১৮০+

নরসিংদী ১৮০+

গাজীপুর। ১৯০+

টাঙ্গাইল। ১৬০+

কিশোরগঞ্জ। ১৮০+

ময়মনসিংহ। ১৬০+

জামালপুর। ১৫০+

শেরপুর। ১৭০+

নেত্রকোনা ২০০+
কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ) ২৫০+ মিলিমিটার।
২৪ পরগনা ৩০০+

বৃষ্টি বলয় শ্রাবণী এর পূর্বাভাসে যা বিবেচনায় রাখতে হবে :

*এখানে দেওয়া বৃষ্টির পরিমান একটা গড় ধারনা মাত্র, স্থানভেদে এর পরিমান প্রায় ৫০% পর্যন্ত হেরফের হতেপারে। ও দেশের কোন কোন ক্ষুদ্র এলাকায় কিছুটা বেশি বৃষ্টি হতে পারে ও কোন ক্ষুদ্র স্থানে বৃষ্টি অনেক কম হতে পারে।
নোট : প্রাকৃতিক কারনে বৃষ্টি বলয় শ্রাবণী এর সময়সূচি কিছুটা পরিবর্তন ও এর শক্তি কিছুটা হ্রাস, বৃদ্ধি বা বিলুপ্ত হতেপারে।

পূর্বাভাস তৈরি : Bangladesh Weather Observation Team – BWOT
Graphic: Presented by BWOT

[Copyright : বাংলাদেশে BWOT একমাত্র আবহাওয়া সংস্থা যারা বৃষ্টি বলয় নামকরন করে বৃষ্টিবলয়ের পূর্বাভাস করার প্রচলন করে। তাই BWOT ব্যাতিত আর কেউ বৃষ্টি বলয় নামকরণ করে পূর্বাভাস করে বিভ্রান্তি তৈরি করা থেকে বিরত থাকুন]

*DISCLAIMER: এটা শুধুমাত্র আমাদের গবেষণায় পাওয়া তথ্য, কোনো সরকারি পূর্বাভাস বা সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি না এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত অফিসিয়াল পূর্বাভাসের জন্য সবাই বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করুন।
এবং এই পূর্বাভাসের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করুন, অথবা তাদের পূর্বাভাস অনুসরণ করুন।

ধন্যবাদ : Bangladesh Weather Observation Team- BWOT
আপডেট : ১৪ ই অগাস্ট ২০২৪, রাত ৯:৩০ টা