
ধেঁয়ে আসছে দেশের দিকে বৃষ্টি বলয় আঁখি
নোট : বলে রাখা ভালো, এই বৃষ্টি বলয় আঁখি দেশের পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম অঞ্চলে অঞ্চলে বেশি সক্রিয় হতে পারে।
এটি একটি আংশিক বৃষ্টি বলয়, মানে এই বৃষ্টি বলয় সারাদেশে সক্রিয় হবে না। তবে দেশের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় বেশ সক্রিয় হয়ে যথেষ্ট বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এবং এই বৃষ্টি বলয় টি দেশের প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ এলাকায় ভারীবৃষ্টি ঘটাতে পারে। বাকি এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
এটি চলতি বছরের ১৪ তম বৃষ্টি বলয় ও মৌসুম পরবর্তী ১ম ক্রান্তীয় বৃষ্টি বলয়।
সর্বাধিক সক্রিয়ঃ রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ
বেশ সক্রিয় : ঢাকা বিভাগ
মাঝারি সক্রিয়: খুলনা, সিলেট বিভাগ
কম সক্রিয়: বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগ
বৃষ্টি বলয় আঁখি সম্পর্কে আরো তথ্য
নাম : ক্রান্তীয় বৃষ্টি বলয় “আঁখি”।
টাইপ : আংশিক বৃষ্টি বলয়। [৬০% এলাকায়]
ক্যাটেগরি : ভারী বৃষ্টি বলয় [সর্বোচ্চ বৃষ্টির দিক থেকে]
সময়কাল : ২৯শে অক্টোবর হতে ২রা নভেম্বর ২০২৫। [পর্যায়ক্রমে, একসাথে সব জায়গায় নয়]
সর্বাধিক সক্রিয়: ৩১ অক্টোবর ও ১লা নভেম্বর। [পর্যায়ক্রমে, বেশি সক্রিয় এলাকায়]
কালবৈশাখী : রাজশাহী, রংপুর বিভাগের কিছু কিছু স্থানে বায়ু চাপের তারতম্যের কারণে আকস্মিক দমকা হাওয়া সহ কালবৈশাখীর সম্ভাবনা আছে।
বজ্রপাত : বেশি সক্রিয় এলাকায় বেশ বজ্রপাতের সম্ভাবনা আছে।
বন্যা : সম্ভাবনা কম, তবে উজানে ভারী বৃষ্টির কারণে রংপুর বিভাগের নদ নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।
একটানা বর্ষন : আছে বেশি সক্রিয় এলাকায়
সিস্টেম : ঘূর্ণিঝড়ের অবশিষ্টাংশ থাকতে পারে।
ঝড় : এই বৃষ্টি বলয়ে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝড়ো হওয়া বয়ে যেতে পারে।
সাগর : উক্ত সময়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর সাময়িক সময়ের জন্য কিছুটা উত্তাল হতে পারে।
পাহাড় ধসঃ সম্ভাবনা কম
বৃষ্টিবলয় আঁখি এর বিস্তারিত
নোট : বৃষ্টিবলয় “আঁখি” চলাকালীন সময়ে দেশের আকাশ অধিকাংশ এলাকায় আকাশ মূলত আংশিক মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। ও অধিক সক্রিয় এলাকায় প্রায় বেশিরভাগ সময়েই মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।
বৃষ্টি বলয় ” আঁখি” তে অধিকাংশ বৃষ্টিপাত বিরতিসহ হলেও দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কোথাও কোথাও কিছুটা টানা বৃষ্টিরও সম্ভাবনা আছে।
*এই বৃষ্টি বলয় চলাকালীন সময়ে দেশের প্রায় ২০-৩০% এলাকায় পানি সেচের চাহিদা পুরন হতে পারে।
এই বৃষ্টি বলয় টি ২৯শে অক্টোবর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল দিয়ে দেশে প্রবেশ করতে পারে ও আগামি ২রা নভেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগ হয়ে দেশ ত্যাগ করতে পারে।
বৃষ্টিবলয় আঁখি চলাকালীন সময়ে দেশের আবহাওয়া অধিকাংশ এলাকায় আরামদায়ক থাকতে পারে। এবং টানা বৃষ্টি চলা এলাকায় বেশ ঠান্ডা অনুভূতি হতে পারে।
বৃষ্টি বলয় আঁখি এর বৈশিষ্ট্য : এটি একটি সিস্টেম কেন্দ্রিক বৃষ্টি বলয়। যেহেতু সিস্টেমের কেন্দ্রকে চোখের ন্যায় ধরা হয় তাই এর সাথে মিল রেখে এর নামকরণ আঁখি রাখা হয়েছে।
নোট : আঁখি যেহেতু আংশিক বৃষ্টি বলয় [পূর্নাঙ্গ নয়], সুতরাং আঁখি চলাকালীন সময়ে দেশের বেশ কিছু এলাকায় খুবই কম বৃষ্টিপাত বা বৃষ্টি একেবারে নাও হতে পারে।
নোট: বৃষ্টি বলয় চালু হওয়া মানে একসাথে সকল এলাকায় বৃষ্টিপাত নয়। মূলত এই সময়সীমার মধ্যে সর্বোচ্চ সক্রিয় এলাকায় পর্যায়ক্রমে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে এবং কম সক্রিয় এলাকায় বৃষ্টিপাত হলেও তা পর্যায়ক্রমে ও কম হতে পারে।
মেঘের অভিমুখ: অধিকাংশ সময় দক্ষিণ-পশ্চিম হতে উত্তর-পূর্ব দিকে, তবে মাঝে মাঝে বিভিন্ন এলাকায় গতিপথ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
বৃষ্টিবলয় আঁখিতে যেমন বৃষ্টি হতে পারেঃ
আসুন একনজরে দেখেনেই বৃষ্টি বলয় “আঁখি” চলাকালীন সময়ে দেশের কোন বিভাগে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন গড়ে কত মিলিমিটার বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ও বৃষ্টি বলয়ের ৫ দিনে কোন বিভাগে গড়ে কত দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
ঢাকা ৩০-৫০ মিলিমিটার, গড়ে ৩দিন
খুলনা ৩০-৪০ মিলিমিটার গড়ে ৩ দিন
বরিশাল ২০-৩০ মিলিমিটার গড়ে ৩ দিন
সিলেট ৪০-৬০ মিলিমিটার গড়ে ২ দিন
ময়মনসিংহ ৬০-৭০ মিলিমিটার গড়ে ৩ দিন
রাজশাহী ৬০-৭০ মিলিমিটার গড়ে ৩ দিন
রংপুর ১০০-১১০ মিলিমিটার গড়ে ৩ দিন
চট্টগ্রাম ১০-২০ মিলিমিটার গড়ে ২ দিন।
আসুন একনজরে দেখে নেই, বৃষ্টি বলয় আঁখি এ চলাকালীন সময়ে আপনার জেলায় গড়ে কত মিলিমিটার বৃষ্টি হতেপরে
_______________________
বরিশাল বিভাগ
==============
বরিশাল – ৩০ মিমি
ভোলা উত্তর – ২৫ মিমি
ভোলা দক্ষিণ – ২০ মিমি
বরগুনা – ৪০ মিমি
ঝালকাঠি – ৩৫ মিমি
পটুয়াখালী উত্তর – ৩৫ মিমি
পটুয়াখালী দক্ষিণ – ৩৫ মিমি
পিরোজপুর উত্তর – ৩৮ মিমি
পিরোজপুর দক্ষিণ – ৩৮ মিমি
চট্টগ্রাম বিভাগ
=================
বান্দরবান উত্তর – ২০ মিমি
বান্দরবান দক্ষিণ – ২০ মিমি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া – ২০ মিমি
চাঁদপুর – ২৫ মিমি
চট্টগ্রাম উত্তর – ১৫ মিমি
চট্টগ্রাম দক্ষিণ – ১৫ মিমি
কুমিল্লা উত্তর – ১৮ মিমি
কুমিল্লা দক্ষিণ – ১৮ মিমি
কক্সবাজার উত্তর – ৩০ মিমি
কক্সবাজার দক্ষিণ – ৩০ মিমি
সন্দ্বীপ – ২০ মিমি
ফেনী – ২০ মিমি
খাগড়াছড়ি উত্তর – ১৫ মিমি
খাগড়াছড়ি দক্ষিণ – ১৫ মিমি
লক্ষ্মীপুর – ২০ মিমি
নোয়াখালী উত্তর – ২০ মিমি
নোয়াখালী দক্ষিণ – ২৫ মিমি
রাঙামাটি উত্তর – ১৫ মিমি
রাঙামাটি দক্ষিণ – ১৫ মিমি
ঢাকা বিভাগ
=================
ঢাকা – ৪৫ মিমি
ফরিদপুর – ৪০ মিমি
গাজীপুর – ৫০ মিমি
গোপালগঞ্জ – ৩০ মিমি
কিশোরগঞ্জ – ৫০ মিমি
মাদারীপুর – ২৫ মিমি
মানিকগঞ্জ – ৪৫ মিমি
মুন্সিগঞ্জ – ৪৫ মিমি
নারায়ণগঞ্জ – ৪০ মিমি
নরসিংদী – ৪৫ মিমি
রাজবাড়ী – ৪৫ মিমি
শরীয়তপুর – ২৮ মিমি
টাঙ্গাইল – ৬০ মিমি
ময়মনসিংহ বিভাগ
=================
জামালপুর – ৯০ মিমি
ময়মনসিংহ উত্তর – ৭৫ মিমি
ময়মনসিংহ দক্ষিণ – ৬০ মিমি
নেত্রকোনা – ৬৫ মিমি
শেরপুর – ৯০ মিমি
খুলনা বিভাগ
=================
বাগেরহাট উত্তর – ৩০ মিমি
বাগেরহাট দক্ষিণ – ৩০ মিমি
চুয়াডাঙ্গা – ৫০ মিমি
যশোর – ৪০ মিমি
ঝিনাইদহ – ৪৫ মিমি
খুলনা উত্তর – ৩৫ মিমি
খুলনা দক্ষিণ – ৩৫ মিমি
কুষ্টিয়া – ৫৫ মিমি
মাগুরা – ৪০ মিমি
মেহেরপুর – ৫০ মিমি
নড়াইল – ৩০ মিমি
সাতক্ষীরা উত্তর – ৩৫ মিমি
সাতক্ষীরা দক্ষিণ – ৩৫ মিমি
রাজশাহী বিভাগ
=================
বগুড়া – ৮০ মিমি
জয়পুরহাট – ৮৫ মিমি
নওগাঁ – ৭৫ মিমি
নাটোর – ৫৫ মিমি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ – ৬৫ মিমি
পাবনা – ৫৫ মিমি
রাজশাহী – ৬০ মিমি
সিরাজগঞ্জ – ৫৬ মিমি
রংপুর বিভাগ
=================
দিনাজপুর – ১১৫ মিমি
গাইবান্ধা – ১১৫ মিমি
কুড়িগ্রাম – ১২০ মিমি
লালমনিরহাট – ১১০ মিমি
নীলফামারী – ১০০ মিমি
পঞ্চগড় – ১০০ মিমি
রংপুর – ১১০ মিমি
ঠাকুরগাঁও – ১০০ মিমি
সিলেট বিভাগ
=================
হবিগঞ্জ – ৩০ মিমি
মৌলভীবাজার – ৩৫ মিমি
সুনামগঞ্জ – ৫০ মিমি
সিলেট – ৪০ মিমি
পশ্চিমবঙ্গ (ভারত)
=================
উত্তর ২৪ পরগনা – ৪০ মিমি
দক্ষিণ ২৪ পরগনা – ৫০ মিমি
দক্ষিণ মধ্য বঙ্গ – ৫৫ মিমি
কলকাতা – ৬০ মিমি
দীঘা – ৬০ মিমি
মেদিনীপুর – ৬৫ মিমি
বাঁকুড়া – ৫৫ মিমি
পুরুলিয়া – ৫০ মিমি
বর্ধমান – ৫০ মিমি
আসানসোল – ৬০ মিমি
বেহরামপুর – ৫৫ মিমি
মালদা – ৭৫ মিমি
রায়গঞ্জ – ১৩০ মিমি
ইসলামপুর – ১২০ মিমি
শিলিগুড়ি – ১০০ মিমি
দার্জিলিং – ৯০ মিমি
জলপাইগুড়ি – ১০০ মিমি
কোচবিহার – ১১০ মিমি
ওডিশা (ভারত)
=================
উত্তর ওডিশা – ৬০ মিমি
পূর্ব উপকূল ওডিশা – ৬৫ মিমি
ঝাড়খণ্ড (ভারত)
=================
উত্তর ঝাড়খণ্ড – ৬৫ মিমি
দক্ষিণ ঝাড়খণ্ড – ৫৫ মিমি
জামশেদপুর – ৫৫ মিমি
রাঁচি – ৫০ মিমি
দুমকা – ৬০ মিমি
বিহার (ভারত)
=================
দক্ষিণ বিহার – ৯০ মিমি
পূর্ব বিহার – ১৪০ মিমি
উত্তর বিহার – ১০০ মিমি
আসাম ও উত্তর-পূর্ব ভারত
=================
পশ্চিম আসাম – ৯০ মিমি
পশ্চিম-মধ্য আসাম – ৫০ মিমি
মধ্য আসাম – ২০ মিমি
পূর্ব আসাম – ৩০ মিমি
দক্ষিণ আসাম – ২৫ মিমি
চেরাপুঞ্জি – ৬০ মিমি
দক্ষিণ-পশ্চিম মেঘালয় – ১২০ মিমি
পশ্চিম-মধ্য মেঘালয় – ৭০ মিমি
মধ্য ত্রিপুরা – ১৫ মিমি
উত্তর মিজোরাম – ১০ মিমি
দক্ষিণ মিজোরাম – ১৫ মিমি
==================================
বৃষ্টি বলয় এর পূর্বাভাসে যা বিবেচনায় রাখতে হবে:
*এখানে দেওয়া বৃষ্টির পরিমান একটা গড় ধারনা মাত্র, স্থানভেদে এর পরিমান কিছুটা হেরফের হতেপারে। ও দেশের কোন কোন এলাকায় কিছুটা বেশি বৃষ্টি হতে পারে ও কোন কোন স্থানে বৃষ্টি অনেক কম হতে পারে।
নোট : প্রাকৃতিক কারনে বৃষ্টি বলয় “আঁখি” এর সময়সূচি কিছুটা পরিবর্তন ও এর শক্তি কিছুটা হ্রাস, বৃদ্ধি বা বিলুপ্ত হতেপারে। যা নির্ভর করবে ঘূর্ণিঝড় মন্থার ভবিষ্যৎ গতিপথের উপর।
নিয়মিত বৃষ্টিবলয় সম্পর্কে জানুন এখানে
পূর্বাভাস তৈরি : Bangladesh Weather Observation Team Ltd. (BWOT)
[Copyright : বাংলাদেশে BWOT একমাত্র আবহাওয়া সংস্থা যারা বৃষ্টি বলয় নামকরন করে বৃষ্টিবলয়ের পূর্বাভাস করার প্রচলন করে। তাই BWOT ব্যাতিত আর কেউ বৃষ্টি বলয় নামকরণ করে পূর্বাভাস করে বিভ্রান্তি তৈরি করা থেকে বিরত থাকুন]
*DISCLAIMER: এটা শুধুমাত্র আমাদের গবেষণায় পাওয়া তথ্য, কোনো সরকারি পূর্বাভাস বা সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি না এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত অফিসিয়াল পূর্বাভাসের জন্য সবাই বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করুন।
এবং এই পূর্বাভাসের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করুন, অথবা তাদের পূর্বাভাস অনুসরণ করুন।
ধন্যবাদ : Bangladesh Weather Observation Team Ltd.
আপডেট : ২৭শে অক্টোবর ২০২৫, রাত ০৮:০০ টা
Advertisements