সাধারণত আমাদের দেশে শীতকালে এই দুই ধরনের শীত ও শৈত্যপ্রবাহ দেখা যায়।
কিন্তু মজার ব্যাপার হলো শীত ও শৈত্যপ্রবাহের সাথে যদি নিয়মিত রোদ থাকে সেক্ষেত্রে তাপমাত্রা রাতের দিকে অনেক কমে যায়। অনেক সময় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ বা ৫° এর ঘরে চলে আসে, কিন্তু দিনের বেলায় রোদের কারনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অনেক সময় ২৫° এর আশেপাশে চলে আসে।
এতে কি হয় রাতে প্রচন্ড শীত পড়লেও দিনের বেলায় তেমন শীত অনুভূত হয়না বলে জনজীবনে এর তেমন কোন প্রভাব পড়েনা।
.
কিন্তু যখন শীত বা শৈত্যপ্রবাহ এর সাথে কুয়াশাবেল্ট যুক্ত হয় তখন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিন্তু ৯° এর নিচে নামেনা, তবে একইসাথে সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রোদ না থাকার দরুন ১৫° এর বেশি উপরে উঠতে পারেনা, ফলাফল সারাদিন সারারাত বেশ শীত মনে হয় এবং জনজীবন একপ্রকার স্থবির হয়ে পড়ে।
.
বর্তমানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিন্তু ৬ এর ঘরে চলে এসেছে কিছু এলাকায়, কিন্তু মজার ব্যাপার হলো বর্তমানে দেশের অধিকাংশ এলাকায় ঝলমলে রোদ থাকায় শীত তেমন অনুভূত হচ্ছেনা দিনের বেলায়।
অপরদিকে কিছুদিন আগে দেশের কোথাও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯° এর নিচে নামেনি, তারপরও ঘন কুয়াশাবেল্ট এর দরুন সারাদেশে দিন ও রাতে অনেক শীত অনুভূত হয়েছিলো।
.
আসলে শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতা ধরা হয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড এর উপর ভিত্তিকরে।
এখানে রাতে তাপমাত্রা অনেক নেমে গেলেও দিনে ঝলমলে রোদের কারনে শীতের তীব্রতা কম মনে হয়।
.
এখন কিন্তু দিনের বেলায় দেশের অধিকাংশ এলাকায় ঝলমলে রোদের জন্য দিনে শীত বেশ কম অনুভূতি হচ্ছে, তবে হয়তো খেয়াল করেছেন, রাতে কিন্তু অনেক শীতই পড়ছে।
.
যাহোক আপনাদের কোন শীত ও শৈত্যপ্রবাহ ভালো লাগে?
রোদ যুক্ত শীত ও শৈত্যপ্রবাহ! না কুয়াশাবেল্ট যুক্ত শীত ও শৈত্যপ্রবাহ?
আমাদের ফেসবুক পেইজে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
.
১৬ তারিখ থেকে দেশের অনেক এলাকায় মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিমেল আসছে, তবে ভালো কথা হলো হিমেল চলাকালীন সময়ে কিন্তু দেশের অনেক এলাকায়ই রোদ থাকতে পারে। তাই দিনে শীত কম অথচ রাতে তিব্র ঠান্ডা।
.
শৈত্যপ্রবাহ হিমেল ( ১৬-২২ জানুয়ারী ২০২৩)।
ধন্যবাদ : ©BWOT
Advertisements